logo
ads

`অভিষেক–ঐশ্বরিয়ার মামলা: ইউটিউব থেকে শতাধিক এআই ভিডিও সরানো হলো'

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশকাল: ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫১ এ.এম
`অভিষেক–ঐশ্বরিয়ার মামলা: ইউটিউব থেকে শতাধিক এআই ভিডিও সরানো হলো'

সংগৃহীত ছবি

বলিউড তারকা অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের দায়ের করা মামলার জেরে ইউটিউব থেকে শতাধিক এআই–নির্ভর ভিডিও সরিয়ে দিয়েছে গুগল। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই ভিডিওগুলোর ভিউ ছিল প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ।

সম্প্রতি দিল্লির আদালতে ৪ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। তাঁদের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই এআই–প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন সব ভিডিও বানানো হচ্ছে, যা তাঁদের ব্যক্তিগত অধিকার ও মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করছে। মামলায় ইউটিউবের এআই ট্রেনিং নীতিমালাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

গত মাসে আদালত কয়েকটি নির্দিষ্ট লিঙ্ক সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তবে রয়টার্সের খবরে উঠে আসে, ইউটিউবে তখনো শতাধিক অনুরূপ ভিডিও রয়ে গেছে। এসব ভিডিওর মধ্যে অনেকগুলোতেই তারকাদের রোমান্টিক বা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যা কৃত্রিমভাবে তৈরি।

এরপর শুক্রবার ইউটিউব থেকে “AI Bollywood Ishq” নামের একটি জনপ্রিয় চ্যানেল সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা হয়। ওই চ্যানেলে ২৫৯টি ভিডিও ছিল, যেগুলোর ভিউ ছিল ১ কোটি ৬৫ লাখেরও বেশি। সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিওতে এআই অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সালমান খান ও ঐশ্বরিয়াকে সুইমিং পুলে একসঙ্গে দেখানো হয়েছিল।

ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিভ্রান্তিকর ও কারসাজি করা কনটেন্ট নিষিদ্ধ করে। ক্ষতিকর বা প্রতারণামূলক এআই ভিডিও প্ল্যাটফর্মে অনুমোদিত নয়। তবে “AI Bollywood Ishq” চ্যানেলটি ইউটিউব নিজে নয়, বরং নির্মাতা নিজেই মুছে ফেলেছেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অভিষেক বচ্চনের মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু ভিডিওতে তাঁকে এআই–এর মাধ্যমে কোনো নায়িকাকে চুমু খেতে দেখানো হয়েছে, আবার কোথাও ঐশ্বরিয়া ও সালমান খানের সঙ্গে ভুয়া দৃশ্য বানানো হয়েছে। এসব ভিডিওর কারণে তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

ভারতে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার। বলিউডকেন্দ্রিক বিনোদনমূলক ভিডিওর জনপ্রিয়তাকে ঘিরেই এআই–কারসাজির এই প্রবণতা ছড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অভিষেক–ঐশ্বরিয়া তাঁদের মামলায় গুগলসহ কয়েকটি ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা চেয়েছেন, যারা অনুমতি ছাড়া তাঁদের ছবি ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করছে। মামলার রায়ে তাঁরা প্রায় ৪৫০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের মামলা কেবল বলিউড নয়, বিশ্বব্যাপী তারকা ও সেলিব্রিটিদের জন্য একটি নজির তৈরি করবে। কারণ, এআই–এর মাধ্যমে তৈরি ভুয়া কনটেন্ট ভবিষ্যতে আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ